বরিশালে নদীর পানি ৭ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে

বরিশালে নদ-নদীর পানি আরও বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃস্টি করেছে। আজ শুক্রবার বরিশাল বিভাগের .৭ নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুই ছুই করে প্রবাহিত হয়েছে এমন তথ্য দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের পরিসংখ্যান বিশ্লেষনে দেখা যায়, ভোলার তজুমুদ্দিনে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং এই দুই নদীর পানি দৌলতখান উপজেলায় বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বিষখালী নদীর পানি যথাক্রমে বরগুনা পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, পাথরঘাটা পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ঝালকাঠি পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার ও বেতাগী পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় ধর্মগঞ্জ নদীর পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেতুলিয়া নদীর পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
পিরোজপুরে বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি প্রবাহিত হয় ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। বেতাগী পয়েন্টে বিষখালী নদীর বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বুড়িশ্বর নদীর পানি বাকেরগঞ্জ পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি গতকাল প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং আমতলীতে এই দুই নদীর পানি প্রবাহিত হয় ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে। লোহালিয়া নদীর পানি কাটিপাড়া এলাকায় বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বাকেরগঞ্জে বুড়িশ্বর নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বাবুগঞ্জে সুগন্ধা নদীর পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বরিশাল নগরী ঘেষা কীর্তনখোলা নদীর পানি প্রবাহিত হয় ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে। এছাড়া অন্যান্য নদীর পানিও আগের চেয়ে বেড়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানিও বেড়েছে। পূর্নিমার কারনে আগামী কয়েক দিনে দক্ষিনের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি।